গতকাল আমার ছিল এক বন্ধু নাম মৃণাল কর তার বনের বিয়ে। সে হিন্দু। আর এই প্রথম আমি কোনো এক হিন্দু বাড়ির বিয়েতে গিয়েছি। এটা ছিল এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। হিন্দু বিয়ে যে এত বইচিত্রময় হয় তা এই প্রথম দেখলাম।
বিকাল ৫.৩০টায় আমরা তিন বন্ধুঃ আমি, চিশতি আর রঞ্জিত মিলে গেলাম আমাদের ভারসিটির সামনে। সেখানে আমাদের আরো দুই জনের থাকার কথা। তারা হল শুভ আর বেলায়েত। কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আমরা সবাই ভারসিটির গেইটের সামনে থাকব। কিন্তু শুভ আর বেলায়েত আস্তে দেরি করেছিল (খুব একটা দেরি করে নি)। প্রায় ৬টায় আমরা বাসে উঠি। ১৪নম্বর বিকল্প বাস। পৌণে ৭টায় আমরা রাজধানি মার্কেট এর সামনে এসে উপস্থিত হই। সেখানে লিয়াকত এর আসার কথা ছিল। কিন্তু সে আর সেখানে এল না। শেষ পর্যন্ত আমরা রাত ৮টার দিকে কমিউনিটে সেন্টারে এসে পৌঁছি। সেখানেই লিয়াকত ছিল গিফট নিয়ে। এর পর পৌণে ৯টার দিকে শরিফ এল। আমরা রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে ওয়াইট কলাম। কেননা আমরা যার দাওয়াত পেয়ে গিয়েছিলাম সেই মৃণাল ই আসেনি তখনো। সবশেষে রাত ৯.৩০টায় আমরা ভেতরে যায়। তখনো বর কনে কিংবা মৃণাল কেউই আসেনি। তারপর আমরা অনেক্ষণ বসে ছিলাম। রাত প্রাই ১০টার দিকে আমরা খাওয়া দাওয়ার জন্য বসলাম। খাওয়া দাওয়া মোটামুটি ভালই করেছি। খাওয়ার মাঝেই মৃণাল এলো বরকে নিয়ে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা কিছুক্ষণ বসে থাকলাম এবং এর পর বরের সাথে পরিচিতি পর্ব সেরে নিলাম। এর পর কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে আমরা আবার বরের সাথে আড্ডা দিলাম। অনেকক্ষণ বসে রইলাম কিন্তু বিয়েতো আর শুরু হয় না। বিয়ের লগন শুরু হতে হতে প্রায় রাত ১২টা বেজে গেল। এরপর বিয়ের কার্যাদি শুরু হল। কত রকমের যে ধরন দেখলাম গতকাল বিয়ের। ২টা পর্যন্ত আমরা বিয়ের অনুষ্ঠান দেখলাম। যদিও এর আগে রাত ১০.৩০টায় আমাদের অনেকেই বাসায় চলে যাওয়ার জন্য খুব ধরলো। তবুও তাদের খুব করে বুঝিয়ে ধরে রাখলাম। এরপর সবাই মিলে একটা বিয়ার ও ২ লিটারের একটা পেপ্সি কিনে মিশিয়ে খাই। রাত ২ টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে আমরা হাপিয়ে উঠি। এরি মাঝে কনে একবার জ্ঞান হারায়। আড়াই টার দিকে আমরা মৃণাল এর বাসায় চলে যাই। সেখানে আমরা রাত ৩টা পর্যন্ত কম্পিউটার এ ফিল্ম দেখি। খুব মজা করি সবাই। রাত ৩টার দিকে আমরা ঘুমিয়ে পরি।
ভোর ৫টায় হঠাৎ মৃণাল ডেকে বলল, "ওই সব উঠ"। ওমনি সবাই হুরমুর করে উঠে পড়ি। পরে বুঝতে পারি যে বর কনে এসেছে। তাদের জায়গা দিতে হবে। কি আর করা? উঠতে হবেই। প্রচন্ড ঘুম নিয়ে উঠে পড়লাম সবাই। লিয়াকত তো সারা রাত তার গার্ল ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলতে বলতে আর ঘুমাতে পারে নি। যা একটু ঘুমাতে গেল ওমনি তাকে উঠতে হল। এরপর সবাই তরিঘরি করে তৈরী হয়ে নিলাম। ভোর ৫.৩০ টায় আমরা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম। সবার চোখে তখন প্রচন্ড ঘুম। কন মতে মোড়ে এসে রিক্সা নিলাম। তারপর বাসে উঠে বাসাই এসে সবাই পড়ে পড়ে ঘুমালাম।
সব কিছু মিলিয়ে গতকাল আসলেই খুব মজার গিয়েছিল। এমন মজা আগামি ২ বছর আর হবে না। এর পর শরিফ এর বড় বনের বিয়ে তাও ২-৩বছরের আগে না।
@জুয়েল@
@JeWeL@
বিকাল ৫.৩০টায় আমরা তিন বন্ধুঃ আমি, চিশতি আর রঞ্জিত মিলে গেলাম আমাদের ভারসিটির সামনে। সেখানে আমাদের আরো দুই জনের থাকার কথা। তারা হল শুভ আর বেলায়েত। কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আমরা সবাই ভারসিটির গেইটের সামনে থাকব। কিন্তু শুভ আর বেলায়েত আস্তে দেরি করেছিল (খুব একটা দেরি করে নি)। প্রায় ৬টায় আমরা বাসে উঠি। ১৪নম্বর বিকল্প বাস। পৌণে ৭টায় আমরা রাজধানি মার্কেট এর সামনে এসে উপস্থিত হই। সেখানে লিয়াকত এর আসার কথা ছিল। কিন্তু সে আর সেখানে এল না। শেষ পর্যন্ত আমরা রাত ৮টার দিকে কমিউনিটে সেন্টারে এসে পৌঁছি। সেখানেই লিয়াকত ছিল গিফট নিয়ে। এর পর পৌণে ৯টার দিকে শরিফ এল। আমরা রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে ওয়াইট কলাম। কেননা আমরা যার দাওয়াত পেয়ে গিয়েছিলাম সেই মৃণাল ই আসেনি তখনো। সবশেষে রাত ৯.৩০টায় আমরা ভেতরে যায়। তখনো বর কনে কিংবা মৃণাল কেউই আসেনি। তারপর আমরা অনেক্ষণ বসে ছিলাম। রাত প্রাই ১০টার দিকে আমরা খাওয়া দাওয়ার জন্য বসলাম। খাওয়া দাওয়া মোটামুটি ভালই করেছি। খাওয়ার মাঝেই মৃণাল এলো বরকে নিয়ে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা কিছুক্ষণ বসে থাকলাম এবং এর পর বরের সাথে পরিচিতি পর্ব সেরে নিলাম। এর পর কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে আমরা আবার বরের সাথে আড্ডা দিলাম। অনেকক্ষণ বসে রইলাম কিন্তু বিয়েতো আর শুরু হয় না। বিয়ের লগন শুরু হতে হতে প্রায় রাত ১২টা বেজে গেল। এরপর বিয়ের কার্যাদি শুরু হল। কত রকমের যে ধরন দেখলাম গতকাল বিয়ের। ২টা পর্যন্ত আমরা বিয়ের অনুষ্ঠান দেখলাম। যদিও এর আগে রাত ১০.৩০টায় আমাদের অনেকেই বাসায় চলে যাওয়ার জন্য খুব ধরলো। তবুও তাদের খুব করে বুঝিয়ে ধরে রাখলাম। এরপর সবাই মিলে একটা বিয়ার ও ২ লিটারের একটা পেপ্সি কিনে মিশিয়ে খাই। রাত ২ টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে আমরা হাপিয়ে উঠি। এরি মাঝে কনে একবার জ্ঞান হারায়। আড়াই টার দিকে আমরা মৃণাল এর বাসায় চলে যাই। সেখানে আমরা রাত ৩টা পর্যন্ত কম্পিউটার এ ফিল্ম দেখি। খুব মজা করি সবাই। রাত ৩টার দিকে আমরা ঘুমিয়ে পরি।
ভোর ৫টায় হঠাৎ মৃণাল ডেকে বলল, "ওই সব উঠ"। ওমনি সবাই হুরমুর করে উঠে পড়ি। পরে বুঝতে পারি যে বর কনে এসেছে। তাদের জায়গা দিতে হবে। কি আর করা? উঠতে হবেই। প্রচন্ড ঘুম নিয়ে উঠে পড়লাম সবাই। লিয়াকত তো সারা রাত তার গার্ল ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলতে বলতে আর ঘুমাতে পারে নি। যা একটু ঘুমাতে গেল ওমনি তাকে উঠতে হল। এরপর সবাই তরিঘরি করে তৈরী হয়ে নিলাম। ভোর ৫.৩০ টায় আমরা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম। সবার চোখে তখন প্রচন্ড ঘুম। কন মতে মোড়ে এসে রিক্সা নিলাম। তারপর বাসে উঠে বাসাই এসে সবাই পড়ে পড়ে ঘুমালাম।
সব কিছু মিলিয়ে গতকাল আসলেই খুব মজার গিয়েছিল। এমন মজা আগামি ২ বছর আর হবে না। এর পর শরিফ এর বড় বনের বিয়ে তাও ২-৩বছরের আগে না।
@জুয়েল@
@JeWeL@
Can't read? Download font Vrinda.ttf
It can be read in Opera, Mozila. You may not read this post in Internet Explorer. I am extreamly sorry for that :(
Sundarbans: Biggest Mangrove forest
Beach of Cox's Bazar: Longest Beach
Royal Bengal Tiger
Chittagong City Gate
Court Building
Shah Amanat International Airport
Sky view of Chittagong
Station Road
Sky view of Chittagong
Chittagong Circuit House
Port at dusk
Potenga Sea Beach
Parky beach - Anwara
Foy's Lake
Foy's Lake