Monday, February 23, 2009

বনভোজন ২০০৯: নীলাবিথী

২২শে ফেব্রুয়ারী, ২০০৯ রবিবার। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই প্রথম আমি বনভোজনে যাই। তাও আবার নিজের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নয়। গিয়েছি অন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মানারত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ছোট মামা এবং আমার তিন ফ্রেন্ড পড়ে ইংরেজি বিভাগে। তাদের সাথেই বনভোজনে যাই গাজীপুরের নীলাবীথী নামক একটা শুটিং স্পটে।

মজার ব্যাপার হল আমি সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় যাই সেই পিকনিক এ। ছোট মামা তার এক বন্ধুকে দিয়ে কিভাবে যেন ম্যানেজ করেছে। যাই হোক আমি তাদের সাথে পিকনিকে যাব এ ব্যাপারটি আমি জেনেছি ২১শে ফেব্রুয়ারী রাত ১০:৩০টায়। তখন আমি রাস্তায় ছিলাম। আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ (বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা) স্যারের সাথে সাক্ষাত করে বাসার দিকে আসছিলাম। তখন ছোট মামা ফোন করে বলল পিকনিক এ যাব কিনা। আমি রাজি হয়ে গেলাম এবং রাত ১১:৩০টায় একটা রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম ধানমন্ডি থেকে মগবাজার ছোট মামার বাসায়।

সকাল সাড়ে ৬টায় আমি এবং ছোট মামা মানারত বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হলাম। ওখানে ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল আমার ওই তিন বন্ধুদের জন্য। এরপর বাস ছাড়তে ছাড়তে সকাল সাড়ে ৯টা বাজিয়ে দিল।

পিকনিক স্পটে আমরা পৌঁছি প্রায় সকাল সাড়ে ১১টায়। জায়গা ছোট হলেও বেশ সুন্দর সাজানো গোছানো। ছোট ওই জায়গায় ছিল একটা রেস্ট হাউস, একটা ছোট পুকুর যার এপার থেকে ওপার পর্যন্ত একটা লৌহ ব্রীজ এবং তিনটি নৌকা। পাশেই ছিল একটা ছোট চিড়িয়াখানা। পুকুরের অপর পাশে ছিল একটি শালবন। পুকুর ও গেস্ট হাউসের মাঝেই ছিল একটা ছোট মাঠ। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি খুবই সুন্দর ছিল।

আমি ও ছোট মামা প্রথমেই অনেকক্ষণ নৌকায় চড়লাম। ওখানে আমরা অনেক মজা করলাম। এরপর সবাই মিলে ঘুরে বেড়ালাম কিছুক্ষণ। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে বসে বসে ফান ইভেন্টস গুলো দেখলাম। এভাবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল।

ফেরার পথে আমরা ফটো সেশন করলাম। এরপর বাসে উঠে চলে এলাম ঢাকায়। আসা যাওয়ার পথে বাসে প্রচুর গান হল। সবাই পুরো বাসটাই মাতিয়ে রাখল।

ঢাকায় আসতে আসতে রাত সাড়ে ৮টা বেজে গেল। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি চলে এলাম বাসায়।

ওইদিনটি আমার জন্য স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। খুব মজা করেছিলাম আমরা। আমার এখনো ওইদিনটিতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।

Friday, February 20, 2009

প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতা

প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আজ ১৯শে ফেব্রুয়ারি অংশ গ্রহণ করি। যদিও সেটি ছিল শুধুই একটি প্রস্তুতিমূলক বিতর্ক এবং এটি ছিল আমাদের বিতর্ক শেখারই একটি অংশ। এর আগে দুটি বারওয়ারী বিতর্ক করেছি দুটি কিন্তু সনাতন ধারার বিতর্ক এটাই ছিল প্রথম।

আজকের বিতর্কের বিষয় ছিল, “বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়েছে আবেগ।” আজ বিষয়ের বিপক্ষে ছিল আমার অবস্থান। বিতর্কের বিষয় আমাদের দেয়া হয়েছিল মাত্র ২০ মিনিট আগে। তাই হয়তো খুব একটা যুক্তি আমরা খুঁজে পাইনি কিন্তু তবুও আজ আমরা জয়ি হই। আমাদের দলে আজ যারা যারা ছিল তারা হল: জয়ন্ত, আমি, চিশতি, মহুয়া ও রিফাত।

বিপক্ষ দলের প্রথমেই জয়ন্ত তার বক্তব্য দেওয়ার পর আমি আমার বক্তব্য পেশ করি। আমি মূলতঃ বিজ্ঞানের শুরুই যে আমাদের আবেগ, ইচ্ছা আর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্যই তৈরী সেই বিষয়ে আলোকপাত করি এবং কয়েকটি উদাহরণের মাধ্যমেই বোঝাতে চেয়েছি কিভাবে বিজ্ঞান আমাদের আবেগকে কেড়ে না নিয়ে আবেগকে বাড়িয়েছে। আমার সব কিছুই ঠিকই ছিল কিন্তু কেন জানি বলে ফেলাম বিজ্ঞানের ধ্বংস জজ্ঞের কথা। সেটাই ছিল আমার বড় ভুল। তা বাদে আমি ভালই বলেছিলাম।

যাই হোক, আজ যারা বিতর্ক করেছিল তাদের সকলেরই আজ ছিল প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতা। তাই আজ সবারই প্রচুর ভুল হওয়া সত্বেও আমরা সবাই খুব উপভোগ করলাম সেটি।

Thursday, February 19, 2009

আমার নতুন অভিজ্ঞতা

আজ (১৮ই ফেব্রুয়ারি) আমার জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করেছি। যদিও এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আমাকে আজ অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তবুও আজ খুবই ভাল লাগছে। সেই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আজ শুধুই ঘুরেছি এক কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার আগে বলে নেই, আমি সদ্য নবাগত একজন বিতার্কিক। মাত্র কদিন হল আমি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবে নতুন যোগদান করেছি।

 আগামী ৫-৮ই মার্চ ২০০৯ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রথম “ন্যাশনাল ডিবেট চ্যাম্পিয়নসিপ-২০০৯”। ঢাকা শহরের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ গুলো এতে অংশ নিচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব এর উদ্যগে। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আমন্ত্রন পত্র প্রেরণ করেছি। সেই কাজের অংশ হিসেবেই আজ আমাকে ঘুরতে হয়েছে ১০ টা কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে।

 প্রথমে সকাল ১০টায় আমি, দিপক ও চিশতি আমাদের ডিবেটিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সুমন ভাইয়ের সাথে দেখা করি। তিনি আমাকে ও দিপককে ১০ চিঠি দিয়ে বলেন এগুলো যেন পৌঁছে দিয়ে আসি। তাই আমরা দুজনে বের হই সেই সব চিঠি নিয়ে। আমাদের হাতে পরেছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, ভিকারুন্নিসা নুন কলেজ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ ও নটরডেম কলেজ।

Tuesday, February 3, 2009

Our University Has Been Attacked by Terrorist

Some terrorist attacked our university today about 1 pm.

Some students of Daffodil International University copied some papers from a photocopy shop beside the university campus. But the shop keeper demanded excessive money for that but students did not want to pay that. Then the both students and the shop keepers started quarreling. Hearing this our Teacher Dr. Golam Moula Chowdhury (Dean, Faculty of Science and Technology and Head, Dept. of Electronics and Telecommunication Engineering) came to controll our students and told them to calm down. But the shop keeper threads our teacher with hold his coller of his shirt. They also challenged that they would get fire our university within 40 minutes.

Insulting our honorable teacher was not tolerated by our students and they took position to hit the shop keeper and to teach him a lesson but the shop keeper had ran away before the students came. Excited students tried to break the shop and at time some teachers prevented them from it. Meanwhile, all students united and blocked the main roads for half an hour. Getting this information the local polices came and told the students to calm down and then students opened the road block.

At that time, some outer people (suspected that local terrorists) attacked to the polices from the side of students. The polices supposed that students attacked them and thus they tried to hit students via tear gas and with their bamboo. On the other hand, students were surprised for that behavior of polices and they also started hitting polices by stone. At least 15 students were injured and other 5 police men were injured in that clash. At last when polices understood the main reason they apologized for that accident and they hopeful to took action against the terrorist. The polices also thanked students not to damage the properties and any vehicles.